পার্ট-২
আত্মসমালোচনার প্রয়োজনীয়তা:
আত্মিক পরিশুদ্ধি ও পরকালীন মুক্তি: আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ব্যক্তি আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করতে পারে, যা ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যের উচু স্তরে সমাসীন করে। এর মাধ্যমে বান্দা পরকালে নাজাতপ্রাপ্ত দলের অন্তর্ভূক্ত হবে। ইবাদতে মনযোগী করে: আত্মসমালোচনার মাধ্যমে ব্যক্তি যখন নিজের আমলের ঘাটতি বুঝতে পারে তখন সে ইবদতে মনযোগী হয় যেন পরবর্তী ইবাদতগুলো সে যথাযথভাবে আদায় করতে পারে।
দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করে: যখন মানুষ নিজের আমলের হিসেব নেয় এবং নিজের দায়িত্ব অবহেলার বিষয় তার নিকট সুস্পষ্ট হয় এবং পরকালে এর খারাপ পরিণতির কথা চিন্তা জানতে পারে, তখন সে নিজের, পরিবারের, সমাজের ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালনে আর সচেতন ও দায়িত্ববান হয়।
তওবার পথ সুগম হয়: আত্মসমালোচনার মাধ্যমে যেহেতু বান্দা তার কৃত কর্মের দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে জানতে পারে তাই সে সে সকল পাপ থেকে তাওবা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়।
পাপ থেকে বাচা যায়: একজন মানুষ যখন তার আমলের হিসেব করবে এবং একথা স্বরণ করবে যে আল্লাহ তায়ালা আমার সকল কর্ম লিপিবদ্ধ করে রাখছেন তাহলে সে পরকালের কথা স্বরণ করে অন্যায় ও অত্যাচার পাপাচার থেকে বিরত হবে।
হযরত আবু আইয়ুব সিজিস্তানী রহ. বলেন, إذا ذكر الصالحون كنت منهم بمعزل যখন নেককার বান্দাদের (আমলের কথা আমার নিকট) উপস্থাপন করা হয়, আমি তাদের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করি।
অর্থাৎ তাদের তুলনায় আমার আমলের দৈন্যতা অনুভব করি। ১০
নেক আমলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়: যখন কোন ব্যক্তি নিজ আমলের হিসেব করবে এবং নিজের আমলের কমতি ও দৈন্যতা দেখতে পাবে তখন সে নেক আমলের প্রতি আগ্রহী হবে।
আখেরাতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পায়: যখন কোন ব্যক্তি আখিরাতের কথা স্মরণ করে এবং অন্য নেককার, ওলী-আওলিয়াগণের আমল ও সাধনার কথা স্মরণ করে নিজের আমলের সল্পতা উপলব্ধি করে তখন সে আখিরাতের প্রতি আগ্রহী হয় ও নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়।
দুনিয়ার লোভ হ্রাস পায়: যখন কোন ব্যক্তি নিজের আমলের কথা স্বরণ করে এবং ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসার অসারতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে অনুধাবন করবে, তখন সে এই মূল্যহীন তুচ্ছ দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আখিরাতের আমলের প্রতি আগ্রহী হবে।
আত্মসমালোচনার উপকারিতা:
১. আত্মসমালোচনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহ তায়ালার অফুরান্ত নিয়ামত, অসীম কুদরত ও তাঁর মহান অধিকার সম্পর্কে জানতে পারে। ফলে সে শুকরিয়া গুজার, আল্লাহভীরু ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিতে পরিণত হয়।
২. দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থাকার অন্যতম মাধ্যম হলো আত্মসমালোচনা। যা ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ ও মুক্তির সোপান।
৩. আত্মসমালোচানর মাধ্যমে নিজের ভুল-ত্রুটি নিজের সামনে প্রকাশ হয়। ফলে ব্যক্তি তার ভুল-ত্রুটি বুঝতে পারে। ফলে সে তার কৃত ভুল-ত্রুটি শুধরিয়ে নেয় ও খারাপ কাজ বর্জন করে ও নেক আমলের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৪. আত্মসমালোচনা মানুষের জীবনকে গতিময় ও সজীব রাখে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি উপলব্ধি করতে পারে তাকে এ দুনিয়ায় অনর্থক সৃষ্টি করা হয়নি। পার্থিব জীবন শুধু ভোগ বিলাসের জন্য নয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
أفحسبتم أنما خلقناكم عبثا وأنكم إلينا لا ترجعون
'তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদেরকে কেবল অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার দিকে প্রত্যাবর্তিত হবে না'?১১ বরং এরপর পরকালীন এক অনন্ত জীবন রয়েছে, তার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আর এটা শুধু আত্মসমালোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
৫. আত্মসমালোচনার ফলে মানুষ পাপের পুনারাবৃত্তি করতে পারেনা, বিবেক তাকে বাধা প্রদান করে। কোন ব্যক্তি আত্মসমালোচনার মাধ্যমে তার মধ্যে পাপবোধ জাগ্রত হয় ফলে সে পাপের পুনারাবৃত্তি থেকে বিরত থাকে।
আত্মসমালোচনা না করার পরিণাম:
আত্মসমালোচা পরিহার করা অর্থ হলো নিজের কৃ-প্রবৃত্তির অনুসরণ করা। এতে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করে, কোন কিছু তোয়াক্কা করেনা। যে কোন ধরণের পাপ করতে দ্বিধাবোধ করে না, এমনকি খুন করতেও সে কুণ্ঠাবোধ করে না। আত্মসমালোচনা পরিহার করার কারণে দ্বীনের প্রাতি তার শিথিলতা আসে। আত্মগরীমা ও অহংকারের মধ্যে নিমজ্জিত থাকার কারণে সে এই সকল পাপ কাজ বর্জন করতেও সক্ষম হয়না। ফলে সে অনিবার্য ক্ষতি ও ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়ে জাহান্নামকে অবধারিত করে নেয়। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
আত্মসমালোচনার পদ্ধতি:
ইমাম গাজালী রহ. বলেন, একজন বান্দার ফরয আমল হলো তার পুজিঁ। আর নফল ও ফযিলতপূর্ণ আমল হলো তার লাভ। আর গুণাহসমূহ তার লোকসান। নফসে আম্মারা হলো তার ব্যাবসার পরিচালক যে সর্বদা কু কর্মের নির্দেশ দেয়। এ ব্যাবসার সময়কাল হলো তার গোটা জীবন। সুতরাং প্রথমে সে নফসের নিকট ফরয আমলের হিসেব নিবে, যে সে তা যথাযথভাবে আদায় করেছে কিনা? যদি করে তাহলে শুকরিয়া করে তাকে এমন আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান করবে। আর যদি আদায় না করে তাহলে সেগুলোর কাযা আদায়ের দাবি করবে। আর অসম্পূর্ণরূপে আদায় করলে নফল ইবাদতের মাধ্যমে তার ক্ষতিপূরণ করতে বাধ্য করবে। আর যদি নফস কোন গুণাহের কাজে লিপ্ত হয় তবে তাকে সাজা দেবে। নফস অত্যান্ত প্রতারক ও ধোকাবাজ। এজন্য তার থেকে অত্যান্ত সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি কথা ও কর্মের হিসেব কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করতে হবে, যাতে সে কোন প্রকার ধোকা দিতে না পারে।১২
আত্মসমালোচনায় অভ্যস্ত হওয়ার সহজ উপায়:
আল্লাহভীতিতে অনুপ্রাণীত হওয়া: আত্মসমালোচনায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য প্রধান পূর্বশর্ত। হলো আল্লাহভীতি অর্জন করা। আল্লাহ তায়ালার প্রতি অটুট বিশ্বাস, অবিচল ভরসা, তাঁর মহত্ব ও গুণাবলীর প্রতি অঘাত শ্রদ্ধা-ভক্তি, তাঁর মহা ক্ষমতার প্রতি অসীম ভয়ের সাথে তাঁর প্রতি ঝুঁকে পড়া। এর মাধ্যমেই অন্তরে রোগগুলো দূর করা ও বিবেককে শাসন করা একান্ত সহজ। আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করার কথা কুরআনুল কারীমে বহু আয়াত ইরশাদ হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يا أيها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحدة وخلق منها زوجها وبث منهما رجالا كثيرا ونساء واتقوا الله الذي تساءلون به والأرحام إن الله كان عليكم رقيبا
হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নক্স থেকে। আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যার মাধ্যমে তোমরা একে অপরের কাছে চাও। আর ভয় কর রক্ত সম্পর্কিত আত্মীয়ের ব্যাপারে। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক। ১৩
আখিরাতকে ভয় করা: অত্মসমালোচনায় অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আরেকটি কার্যকর পদক্ষেপ হলো পরকালকে ভয় করা। পরকালের পাপ ও পাপীর ভয়বহ অবস্থা সম্পর্কে জানা।
আমলনামার হিসাবের ভয় জাগ্রত করা: এই বিশ্বাস ও আকিদা অন্তরে দৃঢ়ভাবে লালন করা যে আমি ছোট-বড়, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় যা কিছুই করি না কেন সেগুলো সংরক্ষণ করা হয় এবং কিয়ামতে সেগুলোর হিসাব ও বিচার হবে। তাহলে সে নিজের আমলের সমালোচনা করতে সচেষ্ট ও যত্নবান হবে।
মৃত্যুর ভয় করা: এই দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, এখানে কেউ চিরদিন থাকবে না, চিরকাল কেউ বেঁচে থাকবে না। যে কোন সময় মৃত্যু এসে যেতে পারে এ বিশ্বাস অন্তরে বদ্ধমূল করা। আমাদের বাপ-দাদা পূর্বপুরুষ আমাদের মত এই পৃথিবীতে চলাফেরা, উঠাবসা করতেন, কিন্তু আজ তারা আমাদের মাঝে নেই। ঠিক আমরাও একদিন এই নশ্বর ধরাধাম থেকে পরকালের পথে পাড়ি জমাব এই অনুভূতিটুকু জাগ্রত করা। |
ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা: ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জানা। ইসলাম একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী আমল করলে পরকালে জান্নাত, আর এগুলো লঙ্ঘণ করলে পরকালে জাহান্নাম সে বিষয়ে সুস্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা।
নিজের সম্পর্কে সু-ধারণা পরিত্যাগ করা: আত্মসমালোচনার আরেকটি অন্যতম পন্থা হলো নিজের সম্পর্কে সু-ধারণা পরিত্যাগ করা। বরং নিজেকে হীন, তুচ্ছ, নগণ্য মনে করা। নিজেকে বড়, সম্মানী ও উচ্চ স্তরের মনে না করা।
আম্বিয়ায়ে কিরাম ও হক্কানী আউলিয়ায়ে কিরামের জীবনী অধ্যায়ন করা: সবকিছুর জন্যই কিছু গাইড লাইন দরকার। তাই আত্মসমালোচনার জন্য একটি গাইড লাইন দরকার। আর সেই গাইড লাইন হলো আম্বিয়ায়ে কিরাম ও হক্কানী আউলিয়ায়ে কিরামের জীবন আদর্শ সম্পর্কে অবগত হওয়া, তাঁরা কিভাবে আত্মসমালোচনা করেছেন তা অনুসরণ করা। তাহলেই সহজেই আত্মসমালোচনার পথ আমাদের নিকট উন্মুক্ত হয়ে যাবে। কারণ মহৎ ব্যক্তিদের জীবনাদর্শ মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করে তোলে।
সালাফে ছালেহীনের আত্মসমালোচনার দৃষ্টান্ত :
হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
سمعت عمر بن الخطاب وخرجت معه، حتى دخل حائطا قسمعته وهو يقول: وبيني وبينه جدار وهو في جوف الحائط : عمر بن الخطاب أمير المؤمنين، بخ بخ، والله لتقين الله أو ليعذبنك
‘আমি একবার ওমর রা.-এর সাথে বের হলাম। পথিমধ্যে তিনি একটি বাগানে ঢুকলেন। এমতাবস্থায় আমার ও তাঁর মধ্যে বাগানের একটি দেয়াল আড়াল হয়েছিল। আমি তাঁকে বলতে শুনলাম, তিনি নিজেকে সম্বোধন করে বলছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব! আমীরুল মু'মিনীন সাবাস! সাবাস! আল্লাহর শপথ! হে ইবনুল খাত্তাব! অবশ্যই তোমাকে আল্লাহর ভয়ে ভীত হতে হবে। অন্যথায় তিনি তোমাকে শাস্তি দিবেন”। ১৪
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
হযরত উসমান গণী রহ. রা. যখন কোন কবরের নিকট দাঁড়াতেন তখন তিনি কাঁদতেন। যাতে তাঁর দাড়ি ভিজে যেত। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো জান্নাত-জাহান্নামের বর্ণনায় আপনি কাঁদেন না, অথচ কবর দেখলে আপনি কাঁদেন কারণ কি? তিনি উত্তরে বললেন, রাসূল (ছঃ) বলেছেন যে, 'কবর হ’ল পরকালের পথের প্রথম মনযিল। যদি এখানে কেউ মুক্তি পায় তাহলে পরের মনযিলগুলি তার জন্য সহজ হয়ে যায়। আর যদি এখানে মুক্তি না পায় তাহলে পরেরগুলি আরও কঠিন হয়ে যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, 'আমি কবরের চাইতে ভয়ংকর কোন দৃশ্য আর দেখিনি'। ১৫
হযরত সাহাল ইবনে আসলাম রহ. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
كان بكر بن عبد الله المربي إذا رأى شيخا قال: هذا خير مني هذا عبد الله قبلي وإذا رأى شابا قال: هذا خير مني ارتكبت من الذنوب أكثر مما ارتكب
হযরত বকর ইবনে আব্দুল্লাহ মুরব্বী রহ. যখন কোন বয়স্ক ব্যক্তিকে দেখতেন তখন বলতেন, এই ব্যক্তি আমার থেকে উত্তম, এই ব্যক্তি আমার পূর্বে ইবাদত শুরু করেছে। আর তিনি কোন যুবককে দেখলে বলতেন, এই যুবক আমার থেকে উত্তম, সে আমার থেকে কম পাপ করেছে। ১৬
ইমাম ইবনু আবিদ্দুনিয়া রহ. তার 'মুহাসাবাতুন নাফস' কিতাবে, ইমাম ইবনু মাজাহ রহ. তার 'কিতাবুয যুহুদ' কিতাবে এধরণের বহু ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
উপসংহার :
অপরের ভুল-ত্রুটি ধরার নাম আত্মসমালোচনা নয়, বরং আত্মসমালোচনা হলো নিজের ত্রুটি ধরতে অভ্যস্ত হওয়া ও অত্মশুদ্ধি লাভ করা। কারণ আত্মশুদ্ধি ব্যতিত পরকালীন নাজাত অসম্ভব। আত্মসমালোচনা আমাদের পরকালীন মুক্তির পথকে সুগম করে, পার্থিব জীবনে দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তোলে, পরকালীন জওয়াবদিহিতার ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক করে এবং বিবেককে জাগ্রত করে। করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা লাভে সহযোগিতা করে। সর্বোপরি জীবনের উচ্চতম লক্ষ্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে গড়ে উঠার কাজ সর্বদা প্রহরীর মত দায়িত্ব পালন করে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে আমলের পরিশুদ্ধিতা দান করুন, ইহলোকে শান্তি ও পরকালে মুক্তি দান করুন। আমীন!
_________________________________
১০. মুহাসাবাতুন নাফস, প্রাগুক্ত, পৃ.৭৬।
১১. সূরা মু'মিনুন, আয়াত নং-১১৫।
১২. ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন, প্রাগুক্ত, খ.8, পৃ.৪০৫।
১৩. সূরা নিসা, আয়াত নং-১।
১৪. মালিক ইবনে আনাস (মৃত্যু: ১৮৯হি.), মুয়াত্তা মালিক, (বৈরুত: দারু ইহইয়াতিত তুরাসিল আরাবী, ১৪০৬ হি./১৯৮৫খ্রি.), খ. ২. পৃ.৯৯২, হা. নং-২৪; মুহাসাবাতুন নাফস, প্রাগুক্ত, পৃ.২৩।
১৫. সুনানু তিরমিযী, হা. নং-২৩০৮।
১৬. মুহাসাবাতুন নাফস, প্রাগুক্ত, পৃ.১০৮।
0 মন্তব্যসমূহ