Recents in Beach

কুরআন হাদিসের আলোকে রমজানে আমাদের করণীয় । What we should do during Ramadan in the light of the Quran and Hadith



রমজান মাস হলো ইসলামের পবিত্রতম মাস, যা কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিশেষ গুরুত্ববহ। এই মাসে আমাদের কিছু বিশেষ করণীয় রয়েছে যা কুরআন ও হাদীসের উপর ভিত্তি করে নিম্নরূপ:

১. রোজা রাখা

আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলন:
“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরয করা হয়েছিল; যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।”
— (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)

রমজান মাসে রোজা রাখা প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য ফরয। ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য, পানীয় এবং অন্যান্য শারীরিক তৃপ্তি থেকে বিরত থাকতে হয়।

২. বেশি করে কুরআন তিলাওয়াত করা

রমজান হলো কুরআন অবতীর্ণের মাস। তাই এই মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
“রমজান মাস, এতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়েত, স্পষ্ট পথ নির্দেশ এবং সৎকর্মীদের জন্য বিচারের বিধান।”
— (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)

৩. তারাবীহ নামাজ আদায় করা

রমজানে প্রতিরাতে তারাবীহ নামাজ আদায় করা সুন্নত। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত এই নামাজ আদায় করতেন এবং সাহাবীদেরও তা আদায় করতে উৎসাহিত করেছেন।

৪. দোয়া ও ইস্তিগফার করা

এই মাস দোয়া কবুলের মাস। তাই বেশি করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: 

"যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ইবাদত করে, আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করেন।"
— (বুখারি, মুসলিম)

৫. জাকাত ও সদকা প্রদান করা

আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
“তোমরা নিজেদের মালের দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করো এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করো।”
— (সূরা আত-তওবা, আয়াত ১০৩)

রমজানে দান-সদকা এবং জাকাত আদায় করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি সদকা করতেন।

৬. ইফতার করানো

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: 

"যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ব্যক্তিও রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।"
— (তিরমিজি)

৭. শবে কদরের ইবাদত করা

শবে কদর বা লাইলাতুল কদর হলো রমজানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাত। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
“নিশ্চয়ই আমি একে (কুরআন) লাইলাতুল কদরে নাযিল করেছি। আর লাইলাতুল কদর কী, তা তুমি কী জানো? লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।”
— (সূরা কদর, আয়াত ১-৩)

৮. তাকওয়া অর্জনের চেষ্টা করা

রমজানের প্রধান লক্ষ্য হলো তাকওয়া অর্জন। রোজার মাধ্যমে আত্মসংযম ও আল্লাহভীতির মাধ্যমে আমাদের নৈতিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব।

এই করণীয়গুলো কুরআন ও হাদীসের আলোকে রমজান মাসে আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।


যাকাত কেলকোলেটর


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ