Recents in Beach

কুরবানির গোশতের হুকুম | কুরবানির মাসয়ালা | Kurbani | Abdullah media

 কুরবানির গোশতের হুকুম

কুরবানির গোশতের হুকুম সম্পর্কে বেকায়াহ প্রণেতা বলেন- ویاکل منہا ویوکل ویہب من یشاء ونذب التصدق بثلثھا وترکہ لذی عیال توسعہ علیھم
আলোচ্য উক্তির আলোকে কুরবানির গোশতের হুকুম নিম্মরূপ-
. কুরবানির গোশত কুরবানিদাতা নিজে খাবে এবং অন্যদেরকেও খাওয়াতে পারবে।
. ইচ্ছানুযায়ী আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদেরকে দান করতে পারবে।
. ইচ্ছা করলে সব গোশতই সদকা করে দিতে পারবে।
. একতৃতীয়ংশ গরিবদের মাঝে সদকা করে দেয়া মুস্তাহাব।
. পরিবারের সদস্য বেশি হলে নিজের পরিতৃপ্তির জন্য দান না করাও মন্দ নয়।
. কুরবানির গোশত বিক্রয় করা বৈধ নয়।
. কুরবানির গোশত সংরক্ষন করে রাখা বৈধ।
৮. কুরবানির পশুর গোশত দ্বারা জবাইয়ের কাজে নিয়জিত শ্রমিকের মজুরি দেয়া বৈধ নয়।
. কুরবানির গোশত আত্মীয় অনাত্মীয়, ধনী গরিব, মুসলিম অমুসলিম সকলকে খাওয়ানো বৈধ।
১০. অংশীদারের ক্ষেত্রে গোশত বন্টনে সমতা রক্ষা করতে হবে।
১১. ওজন করে গোশত বন্টন করতে হবে। অনুমানেরর ভিত্তিতে বন্টন করা বৈধ হবেনা।
১২. গোশত বন্টনে ইচ্ছাকৃতভাবে কমবেশি করলে সকলের কুরবানিই বাতিল হয়ে যাবে।
১৩. তবে গোশতের সাথে হাড় চামড়া যুক্ত থাকলে সেক্ষেত্রে অনুমান করে বন্টন করা বৈধ। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে কমবেশি হলে অবৈধ হবেনা।
১৪. উত্তম পদ্ধতি হলো, গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ ফকির মিসকিন ও পাড়া প্রতিবেশীকে, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে, আর এক ভাগ নিজের জন্য রেখে দেয়া। এটা হলো মুস্তাহাব।

★আরো পড়ুন👉

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ